ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ আপডেট : ৬ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ইছামতী নদী থেকে একদিনে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার  

  প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:৫৪  
আপডেট :
 ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:০১

ইছামতী নদী থেকে একদিনে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার  
ফাইল ছবি

যশোরের শার্শা সীমান্তের ইছামতী নদীর তীর থেকে একদিনে তিন যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দিনের বিভিন্ন সময়ে পাঁচভুলোট সীমান্তের ভাণ্ডারীর মোড়, কাদেরের মোড়ের নিচে চাঁদ আলীর বাঁশবাগান এবং পুটখালি সীমান্তে নাসিরের আমবাগান থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান জানান।

নিহতরা হলেন- শার্শা উপজেলার বেনাপোলের কাগজপুকুর গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৫০), বেনাপোলের দিঘীরপাড় উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আরিফ হোসেন ছেলে সাবুর আলী (৩৫) এবং চৌগাছা উপজেলার শাহাজাদপুর গ্রামের জামিলুর রহমান ঢালির ছেলে সাকিবুল হাসান (২২)। তবে কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।

খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার বলেন, সকালে পাঁচভুলোট সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে ৩০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইছামতি নদীর পাড়ে জাহাঙ্গীরের লাশ পড়েছিল। স্থানীয়রা খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে লাশটি পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে। কিভাবে লাশটি এখানে আসলো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তা।

তবে জাহাঙ্গীর আলমের ভাই রুস্তম আলি বলেন, আমার ভাই ১৫ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছিলেন। সেখানকার মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের একটি কন্যাসন্তান আছে। তিনি কয়েকদিন আগে ভারত থেকে বাড়ি বেড়াতে আসেন। গতরাতে তিনি ভারতে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটেছে।

অপরদিকে, নিহত সাবুর আলীর স্ত্রী হাসি বেগম সাংবাদিকদের বলেন, সকালে একজন আমার বাড়িতে এসে খবর দেয় যে, পুটখালী আমবাগানে আমার স্বামীকে মেরে ফেলে রেখে গেছে। পরে আমি একটি ইজিবাইক নিয়ে সেখানে গিয়ে দেখি আমার স্বামী মাটিতে পড়ে আছেন। তখন তাকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলে পথে তিনি মারা যান।

শার্শা থানার ওসি আমির আব্বাস বলেন, বিকালে ইছামতি নদীর পাড়ে আরো একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও বিজিবির একটি দল লাশটি উদ্ধার করে। সাকিবুল বেনাপোলের কাগজপুকুর গ্রামে নানার বাড়িতে থাকতেন। দুই হাত পিঠমোড়া বাঁধা অবস্থায় ইছামতি নদীতে ভাসছিল। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে কারণ জানা যাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত